ধর্মের প্রতি প্রবৃত্ত হতে গেলে মানুষকে তাঁর আপন সত্ত্বার প্রতি নিষ্ঠ হতে হবে। সত্য সাই বাবা বলেন, যদি কেউ ধর্মের পথ থেকে বিচ্যুত হয়, সে অধর্ম করবে।ধার্মিক হতে গেলে, অন্তরে ঈশ্বরের বাণী শুনে চলতে হবে। স্বামী বলেন ধর্ম সকলকে সত্য ও মিথ্যার মধ্যে পার্থক্য করতে অনুপ্রাণিত করে। এমনকি মানুষ যখন জীবনধারণের জন্য উপার্জন করে। তার কর্তব্য কর্ম পূর্ণ করে তখন পার্থিব ও কর্ম সম্পাদনে তাকে সঠিক পথ সম্বন্ধে সচেতন হয়ে ওই পথের অনুসারী হতে হবে। এখানে যে গল্পগুলি তালিকাভুক্ত করা হ’ল, যেমন “তড়িঘড়ি করলেই সব কিছু পন্ড” বুঝিয়ে দেয় ধর্মের পথে চলা কেন প্রয়োজন। যেমন ভগবান বলেন, সকলকে সব সময় সতর্ক হতে হবে – উদাহরণস্বরূপ বলা যায় সবসময় সত্যের পথে থেকে সে যেন শান্তি লাভ করে। তার জন্য তাকে প্রত্যুৎপন্নমতি হতে হবে।
দ্বিতীয় গল্প উপস্থিত বুদ্ধি সম্বন্ধে একটি সহজ কিন্তু সুন্দর এক দৃষ্টান্ত অবতারণা করেছে। “কোন কাজই বড় কিংবা ছোট নয়” পরের এই গল্পটিতে জর্জ ওয়াশিংটনের একটি সমবেদনা মূলক কর্মের কথা তুলে ধরা হয়েছে যেখানে তিনি একজন উদ্ধত ক্যাপ্টেনকে শেখাচ্ছেন কিভাবে ভালোবাসতে হয়। শ্রীরামকৃষ্ণের জীবনের এই ঘটনা “ আপনি আচরি ধর্ম অপরে শিখাও” শান্তি ও সঠিক আচরণ বোধক মূল্যবোধগুলোকে শিক্ষা দিচ্ছে। একইভাবে “একাগ্রতার মূল্য” নামাঙ্কিত গল্পটিতে বিবেকানন্দের জীবনের দুটি পৃথক ঘটনা বর্ণনা করা হয়েছে যা মনঃসংযোগের ও সঠিক আচরণের ক্ষমতা সম্বন্ধে শিক্ষা দেয়।