প্রকৃতির পঞ্চভূতের মানস পরিদর্শন:
পঞ্চভূত– আকাশ, জল, বায়ু, অগ্নি, মাটি। এদের থেকেই জীবনের সৃষ্টি হয়েছে। পঞ্চভূত ভারতীয় সংস্কৃতির অপরিহার্য অঙ্গ এবং এঁদের পূজা করা হয়। বিশ্বাস করা হয় যে এগুলি প্রাণের ধারক। সুতরাং তাদের যথোচিত সম্মান দেওয়া অতি আবশ্যিক। বাবা বলেন জীবনের সাম্য ও প্রকৃতির সাম্য উভয়ই গুরুত্বপূর্ণ এবং পরস্পরের সঙ্গে সম্পর্কিত। সাম্য বজায় থাকলে পৃথিবীতে শান্তি থাকবে।
শিশুদের মনের চোখ দিয়ে যে দেখানো হয়,তা ধ্যানেরই এক প্রকার। প্রাক প্রাথমিক ও প্রাথমিক ক্লাসের শিশুদের জন্য এটি ব্যবহার করা হয়। গুরু কোন বস্তু বা ছবি দেখিয়ে শিশুদের কল্পনার দ্বারা মনের দৃষ্টি দিয়ে দেখতে সাহায্য করতে পারেন। এটিকে শিশুদের চিন্তার প্রদর্শিত ভ্রমণ বা নীরব উপবেশনও বলা হয়। তাদের ছবি দেখিয়ে বা কল্পনার মাধ্যমে ভাবতে শেখান হয়। এই কল্পনার জগতে শিশুরা যা ভালবাসে বা পছন্দ করে, সেই সবকিছুই থাকতে পারে। উদাহরণ হিসাবে বলা যায়, আকাশ, মেঘ, সুন্দর ফুল, সবুজ পাহাড়, শান্ত সমুদ্র, সূর্যোদয়, চন্দ্রোদয়, সন্ধ্যা, বাগান, অরণ্য, কানন, নদী ইত্যাদি।
এই মনের চোখে দেখতে শেখা, শিশুদের কার্য ক্ষমতা ও মানসিক পরিধি বৃদ্ধি করে। তার থেকে অবশ্যই আসে সফলতা, আনন্দ, আত্মবিশ্বাস ও যশ।