পুনরায় পৃথিবী ভ্রমণ
এই অখণ্ডতার জন্য তিনি অবিরত পরিশ্রম করতেন। উত্তর ক্যালিফোর্নিয়াতে তিনি ‘শান্তি’ আশ্রম প্রতিষ্ঠা করে তায় দায়িত্ব স্বামী তুরীয়ানন্দের উপর দেন এবং সেই সঙ্গে সানফ্রানসিস্সকোতে প্রতিষ্ঠিত বেদান্ত কেন্দ্রের ভারও দেন।
যদিও তাঁর অধ্যাত্মশিখা দ্বিগুণ উদ্দীপ্ত হয়ে উঠেছিল কিন্তু পার্থিব দেহের তৈলধারা নিঃশেষ হয়ে আসছিল। বিবেকানন্দ বুঝেছিলেন যে তাঁর শেষদিন সমাগতপ্রায় এবং তিনি মিস ম্যাকডোনাল্ডকে লিখেছিলেন, ‘আমার নৌকা প্রশান্তি পোতাশ্রয়ের নিকটবর্তী’ হচ্ছে- যেখান থেকে আর কখনো সে বহির্গ’ত হবে না।’
‘ধর্মী’য় ইতিহাস সম্মলনে’ যোগ দেবার জন্য ১৯০০ খ্রীস্টাব্দের ১ আগস্ট তিনি প্যারিসে পৌঁছালেন। ইউরোপের কয়েকটি দেশ পরিভ্রমণ করে তুরস্কে যান এবং শেষে মিশরে আসেন। এখানে তিনি ক্যাপটেন সেভিয়ার-এর মৃত্যুর পূর্বাভাস পেয়েছিলেন। তিনি খুব শীঘ্র ভারতে ফিরে আসলেন, এবং ১৯০০ খ্রীস্টাব্দের ৯ ডিসেম্বর বেলুড় মঠে উপস্থিত হলেন। তাঁর এই আকস্মিক আগমনে তাঁর গুরুভাইরা বিস্ময়ান্বিত হলেও খুবই আনন্দিত হলেন।