বেলুড় মঠ
অমরনাথ থেকে কলিকাতায় ফেরার পর তিনি বেলুড় মঠ নির্মাণ আরম্ভ করেন। কলিকাতার পাঁচ মাইল দূরে গঙ্গার পশ্চিম পাড়ে বেলুড় মঠ। ১৮১৯ খ্রীস্টাব্দের জানুয়ারি মাসে নতুন মঠে সন্ন্যাসীরা বাস করতে আরম্ভ করলেন। ‘নিবেদিতা বালিকা বিদ্যালয়’ ইতিমধ্যেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ‘উদ্বোধন’ নামে একটি বাংলা মাসিক পত্রিকা এই সময় মুদ্রিত হতে আরম্ভ করে। তাঁর ইংরেজ শুক্ত দম্পতি ক্যাপটেন সেভিয়ার এবং তাঁর স্ত্রী হিমালয়ের ‘মায়াবতী’তে (আলমোড়ায়) অদ্বৈত আশ্রমের প্রতিষ্ঠা করেন। একটি ইংরেজি মাসিক পত্রিকা ‘প্রবুদ্ধ ভারত’ এই সময় থেকে মুদ্রিত হওয়া শুরু হয়।
স্বামীজি এই সময়ে মঠন্বিত সন্ন্যাসী ও ব্রহ্মচারীদের অবিরাম উদ্বুদ্ধ করতেন- তীব্র বৈরাগ্য, নিজের মোক্ষলাভের চেষ্টা এবং সহযোগীদের হিত কামনায় জীবন উৎসর্গ’ করতে। তিনি এ কথাই বলতেন- ‘আত্মনো মোক্ষার্থম, জগৎ হিতায় চ’। ইতিমধ্যে তাঁর স্বাস্থ্য ভেঙে পড়েছিল, কারণ মঠের নানাবিধ ব্যাপারের জন্য মনকে সব সময়ে আবিষ্ট রাখতে হত। তাঁর ভক্তেরা পুনরায় আমেরিকা যাওয়ার জন্য অনুরোধ করায় তিনি দ্বিতীয় বার বিদেশ যাত্রা করলেন।