সর্বধর্মের আদর্শ
বিবেকানন্দের মতানুসারে ‘প্রত্যেক আত্মা শুপ্ত দৈবী সত্তা। এই দিব্যত্বকে প্রকাশ করাই হল প্রধান লক্ষ্য এবং সেই জন্য বহিঃস্থ ও অন্তরস্থ প্রকৃতিকে নিয়ন্ত্রিত করতে হবে। এই নিয়ন্ত্রণ কর্মের দ্বারা বা পূজার্চনার দ্বারা করতে হবে অথবা মানসিক-নিয়ন্ত্রণ কিংবা দর্শন শাস্ত্রের মাধ্যমে করতে হবে- হয় একটি নয়তো একটির বেশি অথবা সমস্তগুলির দ্বারাই, এবং অবশেষে মুক্তি আসবে। এই হল ধর্মের প্রধান ও সামগ্রিক রূপ। নীতিকথা, ধর্মমত, পূজার্চনা, পুস্তক, মন্দির অথবা মূর্তি সবই হল অপ্রধান অংশ…’
‘ভক্তিযোগের মূল রহস্য হল মানুষের হৃদয়ের নানাবিধ কামনা, অনুভব ও আবেগগুলি মূলত যে অন্যায় তা নয়, শুধু সেগুলি সতর্কতার সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে এবং চরম উৎকর্ষতা প্রদান করতে হবে। শ্রেষ্ঠতম পন্থা সেটি- যা আমাদের ভগবানের কাছে নিয়ে যায়; অন্যান্য সব পন্থাই নিকষ্টে স্তরের।
‘ভক্তি হচ্ছে ধর্ম’ উপলব্ধির পথে মানসিক চেষ্টার একটি ধারা বা ক্রমপর্যায়, যার শুরু সাধারণ পুজার্চনায় এবং সমাপ্তি ঈশ্বরের জন্য তাঁব্র ঐকান্তিক প্রেমে।
‘ঈশ্বরের প্রকৃত ভক্তের কাছে জগৎ তাঁরই বাক্ত স্বরূপ- কারণ তার মনোভাব হয় ভিন্ন ধরনের এবং সে সর্বত্রই ভগবানের প্রকাশ দেখে।’
স্বামী বিবেকানন্দ