ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ভগবদ্ গীতায় বলেছেন যে যখনই ধর্মের গ্লানি ঘটে, ঈশ্বর মানবজাতিকে উদ্ধারের জন্য তখনই পৃথিবীতে আবির্ভূত হন। কলিযুগে, ১৯২৬ সালের ২৩শে নভেম্বর ঈশ্বর নিজেকে প্রকাশ করলেন শ্রী সত্য সাই বাবার রূপে আবির্ভূত হয়ে। স্বামী জন হিসলপকে বলেন, সব অবতারের জীবনের মতোই তার জীবনের প্রথম ১৬ বৎসর দিব্য লীলাএ বৈশিষ্টরূপে চিহ্নিত। ১৬ থেকে ৪৫ বছর বয়স পর্যন্ত এই অবতার সমগ্র পৃথিবী কে সত্য, ধর্ম, শান্তি, প্রেম ও অহিংসার পথে পরিচালিত করে আধ্যাত্মিক শিক্ষাদানে নিযুক্ত থাকবেন।
এই অংশে প্রদত্ত কাহিনীগুলি শিশু সত্য সাই এর জীবন কাহিনী এবং শৈশবে তিনি যে সব চমৎকার ঘটিয়েছিলেন, তারই বর্ণনা বহন করে চলেছে। ঐ সকল ঘটনাগুলি ছিল তার ভিজিটিং কার্ডের মত যা দূরদূরান্ত থেকে মানুষকে তার দিব্য সান্নিধ্যে টেনে নিয়ে এসেছিল। বালবিকাশের ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে এই গল্পগুলি, ভগবান বাবা শৈশব বেলায় প্রতিদিন কিভাবে মূল্যবোধ ও ভালোবাসা তাঁর পরিবার, বন্ধু-বান্ধব এবং গ্রামবাসীদের মধ্যে বিতরণ করতেন তার মর্ম উপলব্ধি করায়। ছাত্রছাত্রীরা কতটা বুঝেছে তা পরিমাপ করার জন্য বালবিকাশ গুরুরা প্রশ্নোত্তর অংশে প্রদত্ত প্রশ্নগুলির বেছে নিতে পারেন