মানসচক্ষে প্রকৃতি দর্শন
আমাদের চিন্তা হল অসংখ্য জল বিন্দুর মত যা একটি শব্দ ও কর্মের নদী তৈরি করতে পারে। এই নদীকে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা আমাদের প্রায় নেই বললেই চলে। এ নদী এত শক্তিশালী যে এর গতিবেগের আঘাতে তার চলার পথে বাধা স্বরূপ প্রকান্ড পাথরগুলি নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। যাইহোক, উৎস মুখ থেকে নদীর প্রবাহের নির্দিষ্ট দিক অভিমুখে যে গতিপথ তা খুব সহজেই আটকে দেওয়া যায় বা প্রবাহের দিক পরিবর্তন করে দেওয়া যায় শুধু মাত্র একটি পাথরের সাহায্যে। এই যাদু পাথরটি হল, ‘নীরবতা পালন’। বাবা বলেন, ‘একমাত্র নীরবতই পারে হৃদয়ের অস্থিরতাকে শান্ত করতে’।
নীরবতার অভিজ্ঞতা লাভ করার জন্য যে বিভিন্ন ধরনের পদ্ধতি রয়েছে তার মধ্যে ‘মানসচক্ষে দর্শন ‘ ১২ বছরের কম বয়সী ছেলেমেয়েদের জন্য ভীষণ কার্যকর। ছেলেমেয়েদের কিছু কল্পনা করতে বলা হয় ও সেই বিষয়ের উপর একটি মনোজ্ঞ বর্ণনা দেওয়া হয়। এই পদ্ধতিটি খুবই ফলপ্রদ। প্রকৃতির যে কোনো বিষয়ই নির্বাচন করা যেতেস পারে। বস্তুটির বৈশিষ্ট্য ও রূপ এত প্রাণবন্ত ভাবে বর্ণনা করতে হবে যাতে তা শিশুটির মানসচিত্রে দৃশ্যমান হয় অর্থাৎ শিশুটি মনের চোখে তা দেখতে পায়।
জ্যোতি ধ্যান হল এক ধরনের সহায়ক ধ্যান যা বিশ্বজনীন। জ্যোতি বা আলো অন্তরাত্মা থেকে বহির্জগতে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে এবং তা হল সকলের মধ্যে ভালোবাসা ছড়িয়ে পড়া ও একত্বের প্রতীক। এই পদ্ধতি বেশী বয়সের ছেলেমেয়েদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।