মানস চক্ষে দর্শন : পঞ্চ ইন্দ্রিয়।
আমরা দেখেছি যে যখনই আমরা ধ্যানের গভীর নীরবতায় প্রবেশ করতে চেষ্টা করি তখনই অসংখ্য চিন্তা এসে আমাদের বাধা দেয়। যদি অবশ্য তাদের চিন্তা বলা যায়; সেগুলি সম্পর্কে আমাদের হয়ত কোন আগ্রহই নেই। সেগুলি আমাদের কোন কিছু করার ইচ্ছা বা আসক্তির প্রতীকও নয়। তাদের যেন কাজ, কেবল আমাদের মনকে চঞ্চল করে তোলা। এই চিন্তা যা আমরা চাইনা, তা কিন্তু আমাদের মহামূল্যবান সময় অযথা নষ্ট করে দেয়। আমরা তো জানি যে এ এক ভয়ানক অপচয়। এর প্রতিকার কি?
বাবা বলেছেন, ” চিন্তার বীজ বপণ কর, কর্মের ফসল ঘরে তোল; কর্মের বীজ বপণ কর,অভ্যাসের ফসল ঘরে তোল; অভ্যাসের বীজ বপণ কর, চরিত্রের ফসল ঘরে তোল, চরিত্রের বীজ বপন কর, সৌভাগ্যের ফসল ঘরে তোল।”
এই মহাবাক্য প্রত্যেকের সচেতন চিন্তাকে নিয়ন্ত্রণ করার পথ দেখায়। একাজ করার অনেক পথ আছে। আমাদের প্রভু যে নয়দফা আচরণ বিধির কথা বলেছেন, সেখানে বলা হয়েছে,”প্রাত্যহিক ধ্যান জপ অতি আবশ্যক।”
মনের প্রথম রূপটিকে বোঝ। সে অসহায়ের মতন ইন্দ্রিয়গুলির পিছনে দৌড়ায়। উদাহরণ স্বরূপ, যখন একটি জলভরা পাত্র খালি হয়ে যায়,তখন এমন অনুমান করার প্রয়োজন পড়েনা যে দশটি ছিদ্র দিয়ে জল বেরিয়ে গেছে। একটি ফুটোই পাত্রটিকে খালি করে দেবার পক্ষে যথেষ্ট।ঠিক তেমনই যদি একটি ইন্দ্রিয় নিয়ন্ত্রিত না হয়,তাহলেই তোমরা আটকে পড়বে। সুতরাং প্রতিটি ইন্দ্রিয়কেই নিজের বশে রাখতে