গ্রূপ ওয়ানের শিশুদের বালবিকাশ ক্লাসে স্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্যবিধি বিষয়ক আলোচনার বিশেষ দিক-
জানুয়ারি09
গ্রূপ ওয়ানের শিশুদের বালবিকাশ ক্লাসে স্বাস্থ্য ও স্বাস্থ্যবিধি বিষয়ক আলোচনার বিশেষ দিক-
ঘুম- রাতে তাড়াতাড়ি ঘুম ও ভোরে তাড়াতাড়ি ওঠা এক স্বাস্থ্যকর অভ্যাস যা ব্যক্তিকে স্বাস্থ্যবান ও জ্ঞানী করে তোলে ।
সঠিক পরিমাণ ঘুম আমাদের মনঃসংযোগে সাহায্য করে ।
ভালো ঘুমের জন্য রাতে প্রার্থনা ।
শরীরচর্চা- বাইরে ততটা সম্ভব খেলাধুলা করা ।
কম্পিউটারে খেলা বা টিভি স্ক্রীনে দীর্ঘক্ষণ ধরে কোন কিছু দেখা চলবে না ।
একজন ভালো প্রশিক্ষকের কাছে রোগের কিছু সাধারণ কৌশল শিখে নেওয়া ।
স্বাস্থ্যকর ও সুষম খাদ্যগ্রহণ ।
মিষ্টি, চকলেট বা ঐ ধরণের পানীয় অতিমাত্রায় গ্রহণ করা যাবে না ।
এর পরিবর্তে ফল, সবজি, দুধ বা ফলের রস খেতে হবে ।
প্রাতরাশ বাদ দেওয়া যাবে না ।
খাদ্যের অপচয় করা যাবে না ।
খাবার ভালোমত চিবিয়ে খাওয়া প্রয়োজন ।
খাবার সময় থালার চারিদিকে বা যেখানে সেখানে খাবার ছড়িয়ে ফেলা যাবে না ।
খাবার সময় নীরব থাকতে হবে ।
খাবার মুখে নিয়ে কথা বলা যাবে না ।
খাবার সময় শব্দ করা এড়িয়ে চলতে হবে ।
মুখ বন্ধ রেখে খেতে হবে ।
খাবার আগে ভগবানকে নিবেদন ক’রে নিতে হবে তাতে তা প্রসাদ হয়ে যায় ।
পর্যাপ্ত পরিমাণ পরিস্কার ও ফোটানো জল পান করতে হবে ।
শরীরকে পরিস্কার রাখতে হবে । ‘ দেহ দেবালয়ম্’ অর্থাৎ শরীর হ’ল ভগবানের মন্দির ।
প্রতিদিন স্নান করতে হবে । রোজ স্নান না করলে শরীরের বাইরের ময়লা ঘামের সাথে মিশে গিয়ে শরীরে জমবে যা চর্মরোগের কারণ হতে পারে । ফলে শরীর থেকে দুর্গন্ধ বেরোবে ও কেউ আমাদের সঙ্গ পছন্দ করবে না ।
নখ- নিয়মিত নখ কাটা উচিত। নখ ছোট ও পরিষ্কার রাখা উচিত।
দাঁত দিয়ে নখ কাটা যাবে না।
হাত ধোয়া- খাবার আগে ও পরে, শৌচাগার ব্যবহারের পর ও পশুপাখীর সংস্পর্শে আসলে ভালো ক’রে হাত ধুতে হবে।
পায়ের যত্ন- জুতো ছাড়া বাইরে যাওয়া যাবে না। বাইরে খেলাধুলা করলে ভালো ক’রে পা পরিষ্কার করে ধুতে হবে।
সাবান ও জল দিয়ে পরিস্কার করে ধোয়া পোশাক পরতে হবে।
অপরিষ্কার জামাকাপড় সাথে সাথেই ধোয়ার জন্য রেখে দিতে হবে।
চোখের যত্ন- নিয়মিত পরিষ্কার ঠাণ্ডা জল দিয়ে ধুয়ে চোখের যত্ননিতে হবে।
রাতে ঘুমোতে যাবার সময় চোখ ধুয়ে নেওয়া খুবই উপকারী কারণ তাতে চোখে জমে থাকা সারাদিনের ময়লা ধুয়ে যায়।
চোখ মোছার জন্য সর্বদা পরিস্কার কাপড় ব্যবহার করা উচিত।
চোখ মোছার জন্য কখনোই শাড়ী, ধুতি বা কাপড়ের খুঁট ব্যবহার করা উচিত নয়। এতে জীবাণু সংক্রমণ হতে পারে। এভাবেই জীবাণুর আক্রমণ হয়।
প্রত্যেক ব্যক্তির আলাদা আলাদা কাপড় ব্যবহার করা উচিত চোখের জন্য। চোখে কোন রোগ হ’লে দুটি চোখের জন্য আলাদা কাপড় ব্যবহার করা উচিত।
চোখের অসুখ হ’লে সাথে সাথেই চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত। কখনোই পথের ধারের বিক্রি হওয়া কোন যন্ত্র ব্যবহার করা উচিত নয়। এতে অবস্থা আরো খারাপ হ’তে পারে।
সবুজ ও টাটকা শাক সবজি খাওয়া উচিত। এতে প্রচুর পরিমাণে থাকা ভিটামিন এ রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে ও চোখের পক্ষে এগুলি অত্যন্ত উপকারী।
পড়াশোনার সময় যেসব শিশুদের মাথা বা চোখের সমস্যা হয়, চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী তাদের চশমা ব্যবহার করা উচিত।
ঝালাই, কাঠ কাটা ও অন্যান্য কাজ যা চোখের পক্ষে হানিকর, তা থেকে দূরে থাকতে হবে।
গ্রহণের সময় সরাসরি উপযুক্ত পদ্ধতি না নিয়ে তীব্র আলোর দিকে তাকালে তা অন্ধত্বের কারণ হতে পারে।
চোখ লাল হ’লে অবিলম্বে চিকিৎসকের কাছে যাওয়া উচিত।
চোখের পক্ষে হানিকর কোন তীক্ষ্ণ বস্তু নিয়ে খেলা উচিত নয়।
চোখ হ’ল ভগবানের উপহার। শুধুমাত্র যা ভালো তা-ই দেখবে ।
কানের যত্ন-পিতা- মাতা স্নানের পর শুকনো কাপড় দিয়ে কান পরিষ্কার করবে ।
কানে জীবাণু সংক্রমণ অতিরিক্ত ময়লা জমে থাকার ফলে হতে পারে । কোনপ্রকার যন্ত্রণা হ’লে সাথে সাথে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে ।
কান হ’ল ভগবানের দান । যা কিছু ভালো, তা-ই শুনবে ।
গলা ও নাকের সমস্যা যেমন গলা খুশখুশ, কফ, সর্দিকাশির ক্ষেত্রে গরম জলপান ও তা দিয়ে গার্গল করতে হবে ।
গরম জলের বাষ্প গ্রহণও এইক্ষেত্রে খুব কার্যকর ।
হাঁচি কাশির ক্ষেত্রে কাপড় দিয়ে মুখ ঢাকতে হবে । তারপর সেই কাপড় ডাস্টবিনে ফেলে দিতে হয় ।
গলা সংক্রান্ত সমস্যার ক্ষেত্রে নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়া উচিত ।