প্রেম হল সত্যের প্রকাশ। আত্মতত্ত্ব থেকে এর উৎপত্তি। প্রেম হল পবিত্র অবিচল, আলোকোজ্জ্ব্ল, গুণাতীত, রূপাতীত,অনাদি, চিরন্তন, শাশ্বত এবং অমৃত। এই নয়টি হ’ল প্রেমের গুণগত বৈশিষ্ট্য। প্রাম কাউকে ঘৃণা করে না, সকলকে ঐক্যবদ্ধ করে। “একাত্মা দর্শনম্ প্রেম” (একাত্মার অনিভূতিই হ’ল প্রেম)। আমাদের চিন্তা রাজি যদি প্রেমের সাথে বিলীন হয়ে যায়, অন্তরে সত্যের প্রকাশ ঘটবে। কর্ম সকল যদি প্রেমের সম্পৃক্ত হয়ে যায় তখন আমাদের কর্মাদি ধর্মকেই প্রদর্শন করবে। যখন আমাদের অনুভূতি প্রেমে সিক্ত হয়ে ওঠে, আমরা শান্তি সুখ লাভ করতে সক্ষম হব এবং যদি আমরা সমগ্র প্রকৃতিতে ব্যাপ্ত প্রেমতত্ত্ব অনুভব করতে পারি এবং বুঝতে পারি তখন অহিংসা আমাদের আবৃত করে ফেলবে এবং আমাদের সকল প্রকার উদ্যোগেই তার উপস্থিতি বর্তমান থাকবে।
এইভাবে প্রেম হল সকল মূল্যবোধের অন্তঃপ্রবাহ, দিব্যগুণ প্রদায়ী। ভগবানের প্রতি ভালোবাসাই হলো ভক্তি। এই অনুচ্ছেদের “প্রার্থনা” শিরোনামাঙ্কিত প্রথম গল্পটি শিশুটির ঈশ্বরের প্রতি ভক্তি ভাবই প্রকাশ করছে এবং দেখাচ্ছে কিভাবে আন্তরিক প্রার্থনায় ঈশ্বর সাড়া দেন। প্রেমের আরেকটি সহ মূল্যবোধের হ’ল দয়া। জীবের প্রতি দয়ার পটভূমিতে লেখা দুটো গল্প অহিংসার অনুভূতিই প্রকাশ করে।