প্রেম বিহীন কর্তব্য দুঃখজনক. প্রেমের সাথে কর্তব্য করা বা বাঞ্ছনীয়। কিন্তু যে সকল প্রেমপূর্ণ কর্তব্যাদি কারো আদেশ নয়, স্বভাবগত কারণে মানুষের মধ্যে থেকে বেরিয়ে এসে সম্পাদিত হয় তা হলো প্রকৃতপক্ষে ঈশ্বরীয়। যখন কেউ সঠিকভাবে তার কর্তব্যটি করেন তিনি সুখ লাভ করেন। কিছু কর্তব্য নিজেদের জন্য করা হয়; কিছু কর্তব্য সম্পাদিত হয় অপরের জন্য।
ভগবানের প্রতি ভালোবাসা জাগিয়ে সকল মানুষের মধ্যে ঈশ্বর দর্শন করে ভালোবেসে আমরা পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য নিজেদের তৈরি করি। সেবা কাজের মধ্যে দিয়েই ঈশ্বরের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশিত হয়। সত্য সাই বাবার শিক্ষার মধ্যে নিঃস্বার্থ সেবাকর্ম হল সর্বশ্রেষ্ঠ আধ্যাত্মিক অনুশীলন। প্রেম হ’ল ঈশ্বর, ঈশ্বরই প্রেম। সকলকে ভালোবাস। সর্বোচ্চ সাধনার কথা বলতে গিয়ে স্বামী বলেছেন সেবার মাধ্যমে নিঃস্বার্থ প্রেম সেবাকে পূজায় পরিণত করে।
প্রেমের মাধ্যমে ধর্মকে অনুসরণ করার গুরুত্বের উপর আলোকপাত করার জন্য দুটো সুন্দর গল্পের অবতারণা করা হয়েছে।
- “জীবসেবা করে যেই জন, সেইজন সেবিছে ঈশ্বর” – সেবার আসল অর্থ যাতে শিশুরা বুঝতে পারে তার জন্য আব্রাহাম লিংকনের জীবনী থেকে একটি ঘটনার কথা বলা হয়েছে।
- “মানুষ সচেষ্ট হ’লে দৈবী সহায় মেলে”- এই গল্পটিতে স্বধর্ম ও ভক্তি অর্থ্যাৎ ঈশ্বরের প্রতি ভালোবাসাকে সমান গুরুত্ব দেওয়ার কথা ব্যাখ্যা করা হয়েছে।