দেবী দুর্গার প্রতিটি রূপই শক্তির সাথে সম্পর্কযুক্ত। মানুষ অনন্ত শক্তির অধিকারী, শক্তি- যা সাধারণ বোধগম্যতার উর্ধ্বে এবং ঐশ্বরিক। ‘সরস্বতী’ সকলের মধ্যে বাকদেবী রূপে অধিষ্ঠিত রয়েছেন। শরীরকে শ্রদ্ধা জানানো হয় ব্রহ্মা হিসেবে ও জিহ্বাকে সরস্বতী হিসেবে। হৃদয় থেকে যে স্পন্দন নির্গত হয়, শরীর ও জিহ্বার মিলনের মধ্য দিয়ে শব্দের মাঝে সে স্পন্দন তার অভিব্যক্তি বা ভাব খুঁজে পায়। লক্ষী প্রতিনিধিত্ব করেন সকল প্রকার ঐশ্বর্য ও সমৃদ্ধির, শুধু মাত্র অর্থের নয়। এ হল সুখ ও ঐশ্বরিক আনন্দের ঐশ্বর্য। মহিষ মস্তক বিশিষ্ট মহিষাসুর প্রতিনিধিত্ব করে অশুভ শক্তির। ইচ্ছা শক্তি, কর্ম শক্তি ও জ্ঞান শক্তির প্রতিনিধি স্বরূপ দেবী দুর্গা লক্ষ্মী ও সরস্বতীর সম্মিলিত শক্তিই শুধু পারে অসুরকে দমন করতে। — বাবা
চল আমরা সবাই এই দেবী ভজন গুলি গেয়ে সাইমার কাছে প্রার্থনা করি যেন তিনি আমাদের অন্তরস্থিত সম্ভবনাগুলিকে জাগরিত করেন, যাতে আমরা আমাদের ইচ্ছা শক্তি, জ্ঞান শক্তি ও কর্ম শক্তিকে প্রয়োগ করে আধ্যাত্মিক বা ঈশ্বর পথের সব বাধাকে অতিক্রম করে যেতে পারি।