শান্তি সত্য ও ধর্মকে অনুসরণ করে। কারণ শান্তি হ’ল একটা অভিজ্ঞতা। শান্তির অনুভূতি লাভ করার জন্য মানুষের কষ্ট সাপেক্ষ প্রচেষ্টা গ্রহণ করার প্রয়োজন নেই। প্রতিটি চিন্তা ও বাক্য সত্যনিষ্ঠ হলে ধর্ম মেনে কর্মে লিপ্ত হলে ফলস্বরূপ শান্তি লাভ হবে। শান্তি লাভের জন্য ধর্মগ্রন্থগুলি মানুষকে তার মনকে সংযত করার দিকে চালিত করে। মন সংযত হলে তা এক নীরবতা অবস্থায় স্থিত হয়। এই অবস্থাই হলো প্রকৃত শান্তি। যুগ যুগ ধরে মানুষের অভিজ্ঞতা এটাই দেখিয়েছে যে বহির্জগতের বস্তু থেকে প্রাপ্ত শান্তি ও সুখ কখনো স্থায়ী হয় না। এটা অনেকটা মরীচিকার মত। শান্তির প্রকৃত উৎস হলো অন্তর্জগৎ এবং একমাত্র এই অভ্যন্তরীণ শান্তি প্রকৃত আনন্দ দিতে পারে। একটি গানের মাধ্যমে সাধু ত্যাগরাজা জানিয়েছিলেন যে শান্তি বিনা সুখ লাভ কখনো সম্ভব নয়। তুমি অবশ্যই একটি চন্দন বৃক্ষের মত হবে। যে কুঠার তাকে ছেদন করবার জন্য ব্যবহৃত হয় তাকে পর্যন্ত সে তার সুগন্ধ বিতরণ করে। যখন একটি সুগন্ধি ধূপ কাঠি জালানো হয় সে নিজেকে ভস্মীভূত করে কিন্তু চারিদিকে সে তার সৌরভ ছড়িয়ে দেয়। একইভাবে একজন প্রকৃত ভক্ত সর্বদা দেখবে যে সে যেন সর্ব অবস্থাতেই তার শান্তি অক্ষুন্ন রাখে এবং তার সুখানুভূতির দীপ্তি চারিদিকে বিচ্ছুরিত করে। এখানে যে গল্পটি তালিকাভুক্ত করা হলো তা ক্রোধ নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কিত। এর পরবর্তী বছর আমরা আমাদের অন্তরস্থ রিপু সমূহের সম্পর্কে আরও অনেক কিছু জানব।
শান্তি
-
সম্পর্কিত গল্প