বিশ্ব জুড়ে যে দাবী সবচেয়ে প্রবল, তা হল শান্তির দাবী। তাই শান্তির জন্য নোবেল পুরস্কার আছে। এছাড়াও যেসব মহিলা ও পুরুষেরা বিশ্ব শান্তি আনার প্রয়াস করেন তাঁদের জন্য বহু আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আছে। যাঁরা শান্তি খুঁজছেন তাঁদের জন্য আমাদের ভগবান খুব সহজ একটি প্রতিকারের কথা বলেছেন। তিনি বলেন ‘আমি’ ও ‘চাই’ এই দুটিকে জীবন থেকে সরাতে পারলেই শান্তি পাওয়া যাবে। মানুষের মন যখন শান্তিতে পূর্ণ থাকে, তখন সে আনন্দে উদ্বেল বা দুঃখে বিচলিত হয় না। সে না হয় অত্যন্ত উচ্চাভিলাষী না হয় উদ্যোগহীন। জীবন হল সাম্যতা, সেখানে সবকিছুই আশীর্বাদ বলে গ্রহণ করতে হয়।
ভগবান খুব সুন্দর করে এটি ব্যাখ্যা করেছেন
ইন্দ্রিয়গুলি যেহেতু তোমাদের, তাই তাদের যা খুশি করতে দেওয়া বোকামি। ঘোড়াটি তোমার হলেও, চড়বার সময় তুমি তার সব লাগাম ছেড়ে দাও না। তাহলে দুর্ঘটনার সামনে পড়বে। ঠিক তেমনি, তোমরা বল “আমার গাড়ী”; কিন্তু তোমার গাড়ী বলে ঠিক সময়ে ব্রেক না দিলে বিপদে পড়বে। সেই জন্য ইন্দ্রিয় সংযম কেবল মুনি ঋষিদের নয় সব মানুষের পক্ষে অত্যাবশ্যক। চলো এই অংশে যে তিনটি গল্প আছে, সেগুলি পড়ে আমরা শান্তি সম্বন্ধে আরো জানি।