ওজন মাপার যন্ত্রে যখন কৃষ্ণের ওজন মাপা হচ্ছিল, তখন সত্যভামার সমস্ত অলংকার দিয়েও কৃষ্ণের সমান ওজন হচ্ছিল না। সেই সময় রুক্মিণী এসে বললেন যে, কেবল কৃষ্ণ নাম জপ করলেই কৃষ্ণের সমান ওজন হবে।আর তার সঙ্গে যদি একটি পাতা, একটি ফুল অথবা একটু জল যোগ করা হয় তাহলে পাল্লা কৃষ্ণের চেয়েও ভারী হবে। এই বলে তিনি একটি তুলসী পাতা পাল্লার ওপর রাখলেন। অবাক কান্ড! পাল্লাটি হেলে গেল।ঐ তুলসী পত্রে কৃষ্ণের প্রতি রুক্মিনীর অসীম প্রেম তার সমস্ত ভার সমেত যুক্ত হয়েছিল। সত্যভামার সমস্ত অলংকারও কোন কাজে এলনা। কিন্ত রুক্মিনী যেই কৃষ্ণের নাম নিলেন এবং প্রেমপূর্ণ হৃদয়ে একটি তুলসী পত্র নিবেদন করলেন, তখনই কৃষ্ণের উল্টোদিকের পাল্লা হেলে গেল।ঈশ্বরের নাম এবং প্রেমপূর্ণ নৈবেদ্যর এমনই শক্তি। ঐশ্বর্য্য, পান্ডিত্য, ক্ষমতা বা পদমর্যাদা ঈশ্বরকে টলাতে পারেনা।একমাত্র প্রেমই তাঁকে নড়াতে পারে। –বাবা