সত্য, ধর্ম, শান্তি এবং প্রেম – এই বাকি চারটি মূল্যবোধের অন্তর প্রবাহ হিসেবে অহিংসা দ্যুতিময় হয়ে ওঠে। অহিংসা হ’ল প্রেমের নৈতিক উপাদান এবং সকল প্রাণীর সাথে সম্বন্ধযুক্ত। এখানে বোধোদয় বলতে যা বোঝায় তা হ’ল মনুষ্যজগৎ, প্রাণীকুল, বৃক্ষরাজি, হ্রদ, পাহাড়-পর্বত এবং হিমবাহ প্রভৃতিকে ঐ একই “একম অদ্বিতীয়মের” অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে দর্শন করা।
প্রেম +বোধগম্যতা = অহিংসা. একজন অন্ধলোক যে পথ চলতে আমাদের সাথে ধাক্কা খায় তাকে কখনো দোষারোপ করা হয় না কারণ সে জানে না সে কি করছে। একই ভাবে যারা পরম সত্য সম্বন্ধে অন্ধ তাদেরকে আমাদের ক্ষমা করতে হবে। এই দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রেখে কোন হিংসাত্মক প্রতিক্রিয়ার প্ররোচনায় বশীভূত না হয়ে আমরা অপরের নিকট থেকে প্রাপ্ত অপমান, আঘাত সহ্য করব। সকল সৃষ্টির মধ্যে ঐ একের অস্তিত্ব বুঝতে না পারলে আমরা অপরের কৃতকর্ম ও তার ত্রুটি বিচ্যুতি ক্ষমা করতে বা ভুলে যেতে সক্ষম নাও হতে পারি। “অপচয় করো না অভাব হবে না” নামাঙ্কিত গল্পটি অহিংসার পটভূমিতে সামাজিক দায়িত্বের কথা তুলে ধরে।