রাম কাহিনী বা রামায়ণ পৃথিবীর সকল সত্যানুসন্ধানীর কাছে আজও ভীষণ ভাবে প্রাসঙ্গিক। রামায়ণ কর্তব্য, সত্য, ভক্তি, বিশ্বাস, ধর্ম ও সমর্পনের মত মহান আদর্শের ধারক। পিতা মাতার প্রতি শ্রদ্ধা, নিয়ম শৃঙ্খলা ও ধর্মের অনুশীলন প্রভৃতি সুউচ্চ ব্যক্তিগত আদর্শ বর্ণিত হয়েছে এই মহাকাব্যে। এই সকল শিক্ষার সারমর্ম হল এই যে মানুষকে অবিরাম ধর্মের সাথে ও ধর্ম পথে থাকতে হবে। আমাদের অবশ্যই এই মূল্যবোধগুলি আমাদের জীবনে একটু একটু করে অনুশীলন করতে হবে এবং প্রকৃত সুখ অর্জন করতে হবে। স্বামী বলেন, ” বাস্তবিকই রামায়ণ হল মানবজাতির মঙ্গলার্থে ঈশ্বর প্রদর্শিত সেই পথ যা বলে দেয় কি ভাবে আদর্শ মানবজীবন অতিবাহিত করতে হবে।” স্বামী এই কলিযুগে মুক্তির পথ হিসেবে রামনাম স্মরণের ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেছেন। (দিব্য বাণী, রাম নবমী, ৩০ শে মার্চ, ২০০৪)
দ্বিতীয় বিভাগের ক্লাসে ছাত্রছাত্রীরা গল্পটি পাঠ করবে এবং দৈনন্দিন জীবনে নিজেদের কর্তব্য পালনের সুউচ্চ নীতিকে ব্যাখ্যা সহকারে আলোচনা করবে। স্বামীর বই ‘রামকথা রসবাহিনী’ রামায়ণের অনেক বিস্তারিত ও অজানা তথ্যের সংকলন।